Tips & Tricks

পাসপোর্ট রিনিউ করার সহজ উপায়


Nov 28, 2024 905 views

পাসপোর্ট রিনিউ বা রিইস্যু সম্পর্কে যে বিষয় গুলো সবার জানা জরুরী।
পাসপোর্ট রিনিউ করার গুরুত্ব:
আপনার পাসপোর্ট এর যদি মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, অবশ্যই মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট দিয়ে আপনি কোন দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না। যেহেতু পাসপোর্ট আপনার পরিচয় এবং নাগরিকত্ব প্রমাণের একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট তাই মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বেই কিংবা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে পাসপোর্টটি অবশ্যই রিনিউ করে নিবেন। আর অনেক দেশে ভ্রমণের জন্য বৈধ পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস হতে হয়।

পাসপোর্ট রিনিউ করতে কি কি লাগে?
1. আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি
2. পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রশিদ (অফলাইন করা ভালো)
3. জাতীয় পরিচয় পত্র (কিছু অফিসে NID অনলাইন কপি) / জন্ম নিবন্ধন সনদ (ইংরেজি)
4. পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এর মেইনকপি ও ফটোকপি
5. পেশা জনিত ছাড়পত্র / NOC
6. পিতা-মাতার আইডি কার্ড এর কপি (কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়)
7. নাগরিক সনদপত্র
8. ইউটিলিটি বিলের কপি

পাসপোর্ট রিনিউ করার ক্ষেত্রে যে ভুলগুলো মানুষ বেশি করে:
১. ভুল তথ্য প্রদান – আবেদন করার সময় ব্যক্তিগত কিংবা অন্যান্য তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে গরমিল হলে আবেদন বাতিল হতে পারে।
২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাব – রিনিউ করার জন্য পর্যাপ্ত কাগজপত্র না থাকলে আবেদন বাতিল হবে
৩. অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে অজ্ঞতা – অনলাইনে কিভাবে আবেদন করতে হয় এটি না জেনেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, এক্ষেত্রে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে দিয়ে আবেদন করে নিবেন।
৪. পাসপোর্ট ফি পরিশোধে বিলম্ব বা ভুল করা – আপনি যদি পাসপোর্ট ফি পরিশোধ ছাড়াই আবেদন সম্পন্ন করতে চান তাহলে এটি সম্ভব না, আপনাকে প্রাথমিকভাবে ফি পরিশোধ করে চালান কপি কিংবা ব্যাংক কপি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে, অবশ্যই আবেদন করার সময় আপনি যত পৃষ্ঠার এবং যত বছর মেয়াদী পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেছেন আপনাকে সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি করতে হবে।
৫. তথ্য পরিবর্তন থাকলে সময় বেশি লাগবে, কোন একটি নামের সম্পূর্ণ পরিবর্তন অথবা ১০ বছরের বেশি বয়স পরিবর্তন থাকলে পুলিশ ভেরিফাই পুনরায় হয়ে থাকে।
৬. সম্পূর্ণ ডাটা পরিবর্তন এর ক্ষেত্রে, NSI রিপোর্টের প্রয়োজন হতে পারে।

শুভ কামনা। 

Subscribe

Get weekly top offers delivered to your inbox